Saturday, September 7, 2024
Homeবাংলাদেশচকরিয়া ও পেকুয়ায় আ.লীগের ১০ বিদ্রোহী প্রার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

চকরিয়া ও পেকুয়ায় আ.লীগের ১০ বিদ্রোহী প্রার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দলের ১০ নেতাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চকরিয়ায় সাত নেতাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতারা হলেন পূর্ববড় ভেওলা ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান সোহেল, পশ্চিম বড় ভেওলায় রবিউল এহেসান লিটন, কৈয়ারবিলে আফজালুর রহমান চৌধুরী, লক্ষ্যারচরে মো. সাইকুল ইসলাম, কোনাখালীতে দিদারুল হক চৌধুরী এবং কাকারা ইউনিয়নের মো. সাহাব উদ্দিন ও ইছমত-ই-এলাহী।

এদিকে পেকুয়ায় সাময়িকভাবে বহিষ্কার হওয়া তিনজন হলেন উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল করিম, রাজাখালীতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছৈয়দ নুর ও পেকুয়ায় সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ছদর উদ্দিন।

২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে চকরিয়ার ১০টি ও পেকুয়ার ৬টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিটি ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রয়েছে। কিন্তু মনোনয়নবঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে দলীয় প্রার্থীর নিশ্চিত জয়ের পথ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্রোহীদের দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, যাঁরা সাময়িকভাবে বহিষ্কার হয়েছেন, তাঁরা যদি ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ না করেন, তাহলে তাঁদের দলের পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে। পাশাপাশি দলের যেসব নেতা-কর্মী দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামছেন না কিংবা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে দৌড়ঝাঁপ করছেন, তাঁদেরও দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কৈয়ারবিল ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জন্নাতুল বকেয়া। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আফজল উর রহমান চৌধুরী। দল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের পরও তিনি মাঠে লড়ছেন।

আফজল উর রহমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, জনগণের চাপে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তাই তিনি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন।

এই ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী মক্কি ইকবাল। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও তিনি শক্ত অবস্থানে আছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তখনই মক্কি ইকবালকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এরপর তিনি আর দলীয় কোনো পদ ফিরে পাননি।

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular