Wednesday, July 24, 2024
Homeবিশ্বপুতিন ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন : বাইডেন

পুতিন ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন : বাইডেন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সামনের যেকোনো দিন এ হামলা হতে পারে।’

গতকাল শুক্রবার বিকেলে হোয়াইট হাউসে টেলিভিশন ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন। আজ শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের তথ্যের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন বাইডেন। যেখানে বলা হচ্ছে, হামলায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে। তবে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনার কথা বরাবরের মতোই অস্বীকার করেছে।

পশ্চিমা দেশগুলোর শঙ্কা, রাশিয়া হামলা চালানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করার জন্য পূর্ব ইউক্রেনে একটি সাজানো সংকট তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অনুমান, ইউক্রেনে ও এর কাছাকাছি প্রায় এক লাখ ৬৯ হাজার থেকে এক লাখ ৯০ হাজার রুশ সেনা রয়েছে। এর মধ্যে পূর্ব ইউক্রেনের দোনেস্ক ও লুহানস্কের রুশ সমর্থিত যোদ্ধারাও অন্তর্ভুক্ত।

শুক্রবার টেলিভিশন ভাষণে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশ্বাস করার কারণ’ রয়েছে যে রাশিয়ান বাহিনী ‘আগামী সপ্তাহে, আগামী দিনে ইউক্রেনে আক্রমণ করার পরিকল্পনা ও পরিকল্পনা করছে’।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দিকে ইঙ্গিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বলতে পারি-আমি নিশ্চিত যে, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন।’ এর আগে বাইডেন এবং তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তারা পুতিনের এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছেন না।

বাইডেন এও বলেন, রাশিয়া এখনো কূটনীতিকে বেছে নিতে পারে এবং ‘উত্তেজনা প্রশমনে এবং আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি।

এর আগে গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আরেকটি লক্ষণ দেখা যায়। দেশটির দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী এলাকার নেতারা বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ইউক্রেন এসব অঞ্চলে তীব্র গোলাগুলি চালাচ্ছে এবং হামলার পরিকল্পনা করছে।

কিন্তু ইউক্রেন বারবার বলে আসছে, তারা কোনো হামলার পরিকল্পনা করছে না। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এগুলোকে ‘রাশিয়ার দেওয়া বিভ্রান্তিমূলক তথ্য’ অভিহিত করে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ইউক্রেনের উল্লিখিত বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলে কয়েক লাখ মানুষের বসবাস এবং এসব এলাকা থেকে বাসিন্দাদের স্থানান্তর করা বিশাল উদ্যোগের ব্যাপার। বিবিসি বলছে, এমন কোনো ইঙ্গিত নেই যে, এসব অঞ্চল থেকে লোকজন স্থানান্তর অত্যাসন্ন। তবে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের বহনকারী বেশ কয়েকটি বাস রাশিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular