Sunday, September 8, 2024
Homeরাজধানীবঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি একত্রিত হয়েছিল

বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি একত্রিত হয়েছিল

ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গুলশান জগার্স ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা মোহা. নূর আলী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি একত্রিত হয়েছিল। তার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছিল। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ, পেয়েছি স্বাধীন পতাকা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমি এবং আমরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি। তখন নিজের জীবনের কথা ভাবিনি। বাবা-মা, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন কারও কথা চিন্তা করিনি। একটাই চিন্তা ছিল দেশকে হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করা। একজন সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে সব সময় যুদ্ধের মাঠে থাকতে হয়েছে। দিনের পর দিন না খেয়ে, অর্ধাহারে যুদ্ধ করতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমি তো মরে গিয়েছি সেই কবেই। রাজধানীর গুলশান জগার্স সোসাইটি প্রাঙ্গণে গতকাল গুলশান জগার্স সোসাইটি আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২-এর আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মোহা. নূর আলী।

গুলশান জগার্স সোসাইটি প্রাঙ্গণে গতকাল গুলশান জগার্স সোসাইটির স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করছেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহা. নূর আলী। এ সময় সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন -আল আমিন লিয়ন

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজউকের চেয়ারম্যান আমিন উল্লাহ নুরী। তিনি বলেন, আমি প্রথমেই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি সব মুক্তিযোদ্ধাকে। এই মার্চ মাস বাঙালি জাতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। এই মাসেই বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এর আগে আমরা বাংলাদেশি ছিলাম না, আমরা ছিলাম বাঙালি। বঙ্গবন্ধু আমাদের বাংলাদেশ দিয়েছে। এ জন্যই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গুলশান জগার্স সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন সাবেক সচিব ড. মো. শওকত হোসেন।

মোহা. নূর আলী বলেন, আমরা ১৯৬৯, ১৯৭০ এবং ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সেই দিনগুলো পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণ পর্যন্ত ঠিকমতো কোনোদিন ঘুমাতে পারিনি। আমি তখন চুরাইন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র এবং ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। আমাকে যে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল তখন থেকে একাত্তরের যুদ্ধের সেই আত্মসমর্পণ পর্যন্ত আমার প্রতিদিনই কোনো না কোনো এজেন্ডা ছিল।

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular