রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের জোতকার্তিক গ্রামে মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে নিহত খোকন আলীর স্ত্রী রুপা বেগম বাদী হয়ে চারঘাট থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার পর পুলিশ ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ শনিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মসজিদ কমিটিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই খুনের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগ মুহূর্তে স্থানীয় ওই মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি ও সাবেক সভাপতি গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনায় খোকন আলী (৩৫) নামে একজন নিহত হন।
এ ঘটনায় বর্তমান সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামান ওরফে মুকুল হোসেনকে প্রধান আসামি এবং ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, মামলার মূল আসামি মুকুলসহ অন্যরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্ট চলছে। তবে শনিবার সকালে সরেজমিনে জোতকার্তিক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এলাকাটি পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে খোকনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নানাতদন্ত শেষ হলে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কমকর্তা।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার জোতকার্তিক গ্রামে মসজিদ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে খোকন আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। নিহত খোকন আলী ওই গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে। এই ঘটনায় ১২ জন আহত হয়েছে।