রেল নিয়ে সম্পর্ক অবনতির শঙ্কা

0
49

চীনা অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় ২০১৬ সালে। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে যৌথ সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর প্রকল্পের দরকষাকষি সম্পন্ন করে একনেকে অনুমোদন পায়। পরে অত্যধিক ব্যয় মনে হলে খরচ কমানোর নির্দেশনা আসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। তাতে রাজি হয়নি প্রকল্পে নিযুক্ত ঠিকাদার। যদিও চুক্তি অনুযায়ী চীনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বিকল্প অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে হাঁটে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এর ফলে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে জানিয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) চিঠি দিয়েছে। চীনের রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ইআরডি। চিঠিতে এ ধরনের ঘটনায় চীনা অর্থায়নে অন্যান্য প্রকল্প গ্রহণে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে জানানো হয়। জানা গেছে, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এ চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের কাছেও।

সূত্র মতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এশিয়া অধিশাখা থেকে ২৬ এপ্রিল সই করা চিঠিতে বলা হয়, চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পূর্ব আলোচনা ছাড়াই এককভাবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনা অর্থায়নের পরিবর্তে বিকল্প অর্থায়নের চেষ্টা করা হলে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। তা ছাড়া কোনো আলোচনা ছাড়া এককভাবে চীনা অর্থায়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা ভবিষ্যতে অন্য প্রকল্প গ্রহণে সমস্যা তৈরি হতে পারে। গত ১০ এপ্রিল চীনের ঢাকা দূতাবাসের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সই করা চিঠি দেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে।ওই চিঠিতে আখাউড়া-সিলেট সেকশনের মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর শীর্ষক প্রকল্পটি চীনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২০১৬ সালে এমওইউ সইয়ের কথা মনে করিয়ে দেন।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি চীন সরকারের মাধ্যমে জিটুজি ভিত্তিতে পিবিসির (প্রিফারেনশিয়াল এক্সপোর্ট বায়ার্স ক্রেডিট) আওতায় নমনীয় ঋণ সহায়তায় বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত। এ ছাড়াও প্রকল্পটি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহায়তায় সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় গৃহীত পদক্ষেপ। প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনা ঠিকাদার চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো গ্রুপ লিমিটেডকে (সিআরবিসি) নির্বাচন করা হয়েছে। প্রকল্পটির পরিধি, বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ও ব্যয় ইতোমধ্যে ‘উভয় দেশ কর্তৃক অনুমোদিত’।

চীনা দূতাবাস আরও জানিয়েছে, এ পর্যায়ে চীনা অর্থায়ন বাতিল করে বিকল্প অর্থায়নের প্রচেষ্টা গ্রহণ সময়সাপেক্ষ। এতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্মাণব্যয় ব্যাপকভাবে বাড়বে, যা ‘উভয় পক্ষের জন্য ক্ষতিকর’। তা ছাড়া প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন ও স্থানীয় কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। এজন্য রেলওয়ে ও সিআরবিসির বাণিজ্যিক চুক্তি নেগোসিয়েশন করে স্বাক্ষরের জন্য ঢাকার চীনা দূতাবাস অনুরোধ করেছে।

চীনা দূতাবাসের এ চিঠি প্রসঙ্গে ইআরডি সূত্র জানিয়েছে, চীনকে না জানিয়ে এককভাবে বিকল্প অর্থায়নের চেষ্টা করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটির অত্যধিক ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় খরচ যুক্তিযুক্তকরণে একটি কমিটি করে। ওই কমিটির প্রস্তাবিত দর মানতে নারাজ চীনা ঠিকাদার। ঠিকাদার মনে করছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে গঠিত নেগোসিয়েশন কমিটির সঙ্গে দরকষাকষি করে উভয় দেশ মিলে ব্যয় চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর পর তা একনেকে পাঠানো হয়। তা ছাড়া নির্মাণকাজ শুরু করতেও সময় পার হচ্ছে। এসব যুক্তি দেখিয়ে ঠিকাদার সিআরবিসি ব্যয় কমাতে রাজি হচ্ছে না। এ নিয়ে ইআরডির অবস্থান হচ্ছে, চীনা ঠিকাদার রাজি না হওয়ার দালিলিক প্রমাণ দরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গঠিত কমিটির দরপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ার প্রমাণপত্র চীনা দূতাবাসের কাছে তুলে ধরলে বিকল্প ঠিকাদার বা অন্য কোনো উৎসের প্রসঙ্গ উত্থাপন করা যৌক্তিক। তাতেও রাজি না হলে উভয় দেশের সম্মতিতে চুক্তি বাতিলের প্রসঙ্গ তুলে ধরে হবে।

এ কারণে ইআরডির পক্ষ থেকে রেল মন্ত্রণালয়কে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর চিঠি দিয়ে বলা হয়, রেল মন্ত্রণালয় গঠিত নেগোসিয়েশন কমিটি কর্তৃক যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার আলোকে যৌক্তিকীকরণের লক্ষ্যে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল তা জানাতে হবে। ওই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে বিকল্প অর্থায়ন সংগ্রহের আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ করা ব্যয় প্রকল্পটির আওতায় নেগোসিয়েশন কমিটিতে উপস্থাপনের কথা বলা হয়। অন্য কোনো আনুষ্ঠানিক উপায়ে চীনা ঠিকাদারকে অবহিত করা হয়েছে কিনা ও চীনা ঠিকাদার ওই সুপারিশ করা ব্যয়ে তাদের অসম্মতির বিষয় আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে বা রেলপথ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট করতে বলে।

এর পর ২৪ ফেব্রুয়ারি আরেক দফা চিঠি দিয়ে একই তথ্য জানতে চাইলেও এখন পর্যন্ত কোনো জবাব পায়নি ইআরডি। ইআরডির চিঠির জবাব না দিয়েই রেল মন্ত্রণালয় প্রকল্পটির অনুকূলে বিকল্প বৈদেশিক অর্থায়ন প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হালনাগাদ করা পিডিপিপি (প্রিলিমিনারি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) গত ৩ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পনা কমিশন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে পাঠিয়েছে।

ইআরডি এ-ও বলেছে, এর আগে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি ব্যালেন্সিং, মডার্নাইজেশন, রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড এক্সপানশন অব দ্য পাবলিক সেক্টর জুট মিলস (বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন) প্রকল্পের প্রাথমিক মূল্যায়ন চীনা কর্তৃপক্ষ সম্পন্ন করে। এর পর প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে প্রকল্পে চীনা অর্থায়ন বাতিলের জন্য দূতাবাসকে অবহিত করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট ও ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকার চীনা দূতাবাস ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত চীনা অর্থায়নের প্রকল্প অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা হয়। সেখানে প্রকল্পে চীনা অর্থায়ন পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করে চীনা দূতাবাস। বাংলাদেশ পক্ষ প্রকল্পটি এককভাবে বাতিল করায় বস্ত্র ও পাট খাতে বাংলাদেশে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সহায়তা করবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

রেলের আখাউড়া-সিলেট প্রকল্পের নেগোসিয়েশন চূড়ান্ত হওয়ার পর বিদ্যমান অবস্থাও ভালো চোখে দেখছে না চীন। এ নিয়ে ইআরডি লিখিতভাবে রেল মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, ঢাকার চীনা দূতাবাসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সভায় চীনা কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটির বিষয় উত্থাপন করে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার এ প্রসঙ্গে আমাদের সময়কে বলেন, আখাউড়া-সিলেট রেলপথ প্রকল্পের ঠিকাদার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গঠিত ব্যয় যুক্তিকরণ কমিটির প্রস্তাবিত ব্যয়ে রাজি হয়নি। তাদের অপারগতার আনুষ্ঠানিক মতামত রেল মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেশ আগেই সেটি জানানো হয়েছে। রেল মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইআরডিতে তা যাওয়ার কথা। মন্ত্রণালয় কেন বা কী মনে করে জবাব ইআরডিতে পাঠায়নি সেটি তারাই ভালো বলতে পারবে।

এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অবস্থান জানতে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে আমাদের সময়ের পক্ষ থেকে দুদিন ধরে একাধিক বার যোগাযোগ করা হয়। তাদের দুজনের কেউই কথা বলতে রাজি হননি।

সূত্র মতে, চীনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আখাউড়া-সিলেট প্রকল্পের প্রিলিমিনারি ইভালুয়েশন সম্পন্ন হয় ২০২০ সালের ২ জুনে। পরে ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরপূর্বক চীনা দূতাবাসকে অবহিতকরণ ও বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরের পর ঋণের আবেদন পাঠানোর জন্য অনুরোধ করে ইআরডি। এর পর দীর্ঘ সময় পার হলেও রেল মন্ত্রণালয় তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানায়নি।

ইআরডি মনে করছে, রেলপথ নির্মাণের এ প্রকল্পে অর্থায়নে চীনা কর্তৃপক্ষ সম্মতি দেওয়ায় ইতোমধ্যে প্রকল্পের নেগোসিয়েশন সম্পন্ন হওয়ায় সার্বিক বিষয় বিবেচনায় এ বিষয়ে যথার্থ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সমীচীন। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ করা ব্যয় প্রকল্পের আওতায় গঠিত নেগোসিয়েশন কমিটিতে উপস্থাপনের মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো আনুষ্ঠানিক উপায়ে ঠিকাদারকে অবহিত করা হয়েছে কিনা জানতে চেয়েছে ইআরডি। এ ছাড়া চীনা ঠিকাদার ওই সুপারিশ করা ব্যয়ে তাদের অসম্মতির বিষয় আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে/রেলপথ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট করতে তাগিদ দিয়েছে ইআরডি। পাশাপাশি চীনা দূতাবাসের পাঠানো চিঠির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে।

রেল সূত্র মতে, আখাউড়া-সিলেট রেলপথ প্রকল্পে সরকার অনুমোদিত অতিরিক্ত দর কমিয়ে তা পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাবে রাজি হয়নি চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চীনের অর্থায়নে নির্মাণ করতে বিনা দরপত্রে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির মাধ্যমে দর প্রস্তাবের অনুমোদন মেলে। এ ছাড়া একনেকেও প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এর পরে গিয়ে এসব প্রকল্পের অতিরিক্ত খরচ নির্ধারণসহ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। ফলে ব্যয় কমানোসহ কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে। আখাউড়া-সিলেট রেলপথ নির্মাণে নির্ধারণ করা দর থেকে তিন হাজার ৩৫৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা (২০.৮%) কমে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের পর ব্যয় যুক্তিযুক্তকরণ বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়। খরচ কমানোর জন্য প্রস্তাব তৈরি করে এ সংক্রান্ত কমিটি। তাদের প্রতিবেদনে দর নির্ধারণের জন্য চলমান অন্য প্রকল্পের আইটেমের দরের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এর পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মতামত চাইলে তারা বেশ কয়েকটি যুক্তি দেখিয়ে প্রকল্পের মূল্য পুনর্নির্ধারণে একমত পোষণ না করে জবাব পাঠিয়েছে। সেখানে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিজিপি) অনুমোদিত দরমূল্য বহাল রাখার কথা বলেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাদের দাখিল করা রিপোর্ট ইতোমধ্যে রেল মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত ২৩৯ দশমিক ১৪ কিলোমিটার মিটারগেজ রেলপথ ডুয়েলগেজে রূপান্তরে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ১০৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের এপ্রিলে প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। এ প্রকল্পে নির্মাণব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৭৫০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে মাটির কাজে ৩৪৬ কোটি ২৮ লাখ, ট্রাকের কাজে ১৯২ কোটি ৫৭ লাখ, সিগন্যাল ও টেলিকম খাতে ২১ কোটি ৬১ লাখ, সেতু ও কালভার্ট খাতে ১৪৬ কোটি ৪৬ লাখ, স্টেশন ও বিল্ডিং খাতে ২০ কোটি ৩৩ লাখ এবং প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট খাতে এক হাজার ৩৮২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু রাজি হয়নি ঠিকাদার সিআরবিসি।

এদিকে আখাউড়া-সিলেট, জয়দেবপুর ময়মনসিংহ-জামালপুর পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন করতে একটি সমীক্ষা প্রকল্প হাতে নেয় রেলওয়ে। প্রকল্পটির রেলপথ দুটি ভিন্ন। আখাউড়া-সিলেট রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের ব্যবস্থার আগেই বৈদ্যুতিক রেলপথের আরেকটি প্রকল্প নিতে চায় রেলওয়ে। তবে ভবিষ্যতে এ প্রকল্প নেওয়ার কথা বলে সমীক্ষার প্রস্তাবটি ফেরত পাঠিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here