চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন প্রায় ৮৭ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিভেছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে। ডিপোতে আর কোথাও আগুন নেই। আগুন আর জ্বলছে না।
কিছু কনটেইনার থেকে এখনো ধোঁয়া বের হতে দেখা গেলেও সক্রিয় আগুন নেই বলে জানান এই সেনা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, কনটেইনারে যে গার্মেন্টস পণ্য আছে সেগুলোতে পানি দেওয়ায় সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে লেফট্যানেন্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পুরো ডিপো আমরা ঘুরে দেখেছি। আর কোনো মরদেহ পাইনি। কিন্তু আপনারা দেখেছেন একটি শেড এবং অনেক কনটেইনার পুড়ে দুমড়ে মুচড়ে গেছে। ক্রেইনের মাধ্যমে সেগুলো আমরা সরাচ্ছি। এর নিচে আর কোথাও কিছু আছে কিনা তা এখনই বলা সম্ভব নয়।’
এর আগে আজ সকালে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। তখন কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ডিপোর কিছু কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণ ঘটে। এত পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠে এবং আগুনের তীব্রতা বাড়ে। পরে সেনাবাহিনীর একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার ভোরে আগুনে দগ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। দগ্ধ হয়েছেন চার শতাধিক।