Home অর্থনীতি এবার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ঝাঁঝ পড়েছে ডিম-চালে

এবার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ঝাঁঝ পড়েছে ডিম-চালে

0

সম্প্রতি এক লাফে দাম বেড়ে কেজিপ্রতি ৩৫০ টাকায় মরিচ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এবার সে পথেই হাঁটা ধরেছে চাল, ডিম, শাকসবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম। জ্বালানির দাম বাড়ায় বেড়েছে পরিবহন খরচ। আর ঠিক এ কারণেই বেড়েছে এসব পণ্যের দাম।

১২০ টাকা ডজন ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। একটি ডিম কিনতে গুণতে হচ্ছে ১২ টাকা। গরিবের ৫৪ টাকার ‘আঠাশ’ চাল কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়। মাছ-মুরগি, শাকসবজিসহ সব পণ্যের দামই বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। এদিকে ভোক্তা অধিদপ্তর বলছে, খরচের তুলনায় দাম অনেক বেশি বাড়ানো হয়েছে।


বুধবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিতেই ১৩৫ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে ডিম। অলিগলিতে এক হালি ডিম কিনতে গুণতে হচ্ছে ৪৮ টাকা। একটি ডিমের দাম পড়ছে ৫০ টাকা।

কাওরান বাজারের ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম  বলেন, মুরগির উৎপাদন কমেছে, খাবারের দাম বেড়েছে পাশাপাশি নতুন করে পরিবহন খরচও বেড়েছে যার কারণেই দাম বেড়েছে ডিমের।

এদিকে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে চালের দাম। পীরেরবাগে মায়ের দোয়া রাইস এজেন্সির মালিক মোহাম্মদ ফেরদৌস জানান, জ্বালানির দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মিল পর্যায়ে ৫০ কেজির বস্তায় ৫০ টাকা করে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। আবার মিল থেকে ঢাকায় আনার পথেও ট্রাক ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা করে বেড়েছে চালের দাম। সব মিলে গত এক সপ্তাহে প্রতিকেজি চালে ৩ থেকে ৪ টাকা করে বেড়েছে।

তিনি জানান, রশিদের মিনিকেট চাল ৩৩০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৩৫০ টাকা হয়ে গেছে। ঢাকার দোকান পর্যায়ে আসতে দাম পড়ে যাচ্ছে ৩৪০০ টাকা। বিক্রি করতে হচ্ছে তার চেয়ে একটু বেশি দামে। একইভাবে বিআর আটাশ, পাইজাম চালের দাম ২৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫০০ টাকা হয়ে গেছে।

খুচরায় প্রতিকেজি আটাশ চাল ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায়, পাইজাম চাল ৫২ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা, মিনিকেট চাল এখন ৭০ টাকার মধ্যে আছে, তবে এর দাম আরও বাড়বে বলে জানান এই ব্যবসায়ী। নাজির শাইল আগের ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করে বিক্রি করতে হবে। এছাড়া কাটারি চাল ৬৮ টাকা থেকে বেড়ে ৭২ টাকা হয়েছে জানিয়ে ফেরদৌস বলেন, অর্থাৎ একেকটা চালে একেক ধরনের দাম বৃদ্ধি ঘটেছে।

কাওরান বাজারের হাজী ইসমাইল এন্ড সন্সের চাল ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে যে ট্রাক ১৭ হাজার টাকায় আসতো তারা এখন ২৫ হাজার টাকা নিচ্ছে। ট্রাকপ্রতি খরচ বাড়ছে ৮ হাজার টাকা। ফলে সব দরণের চাল কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা বাড়তে পারে। যদিও আগের চাল থাকায় আগের দামেই বিক্রি করছেন তিনি।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here