সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি অর্থ পাচার ও চাঁদাবাজি মামলায় নাম জড়ানোর পর জীবনের অর্থই পাল্টে গেছে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের। বিষয়টি নিয়ে বারবার শিরোনামেও আসছেন এই অভিনেত্রী। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন তিনি। তবে বিষয়টি বারবার অস্বীকার করেছিলেন তিনি। গত মাসেই চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করেন ইডি।
এ মাসের শুরুতেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে একটি অতিরিক্ত চার্জশিট দায়ের করেছে ইডি। এপ্রিল মাসে নগদ ১৫ লাখ টাকার পাশাপাশি জ্যাকুলিনের ৭.২৭ কোটির ফান্ডও ইডির নজরে এসেছিল। ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’-এর আওতায় এই সম্পদও বেআইনি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই মামলার মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর জ্যাকুলিনের জন্য কী কী কিনেছিলেন শুনলে অবাক হয়ে যাওয়ার মতো। বলিউড এই নায়িকার জন্য কোটি টাকার বাড়ি কিনেছিলেন সুকেশ। শুধু তাই নয়, মুম্বাইয়ের জুহু অঞ্চলে একটি দামি বাংলোও অগ্রিম টাকা দিয়ে কিনেছিলেন তিনি। ইডির রিপোর্টে উঠে আসছে এমনই সব তথ্য।
নতুন এই চার্জশিটে ইডির তরফ থেকে জানানো হয়েছে সুকেশ যে বিবাহিত এবং তার অপরাধমূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত ছিলেন জ্যাকুলিন। কিন্তু পুলিশকে মিথ্যা গল্প বলার চেষ্টা করেন নায়িকা। সব কিছু জানার পরও তার দেওয়া সব দামি উপহার উপভোগ করেন জ্যাকুলিন।
অন্য দিকে জ্যাকুলিনকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য তলব করেছে দিল্লি পুলিশ। তার ফিক্সড ডিপোজিটসহ সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে বিদেশযাত্রার অধিকার। যদিও অভিনেত্রীর আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল ইতোমধ্যেই দাবি করেছেন, জ্যাকুলিন ষড়যন্ত্রের শিকার, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।