ভারতের রাজস্থানে রেখা নামের এক তরুণীকে ছোটবেলায় বিয়ে দিয়েছিলেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর সেই বিয়ে মানতে চাননি ওই তরুণী। সেই বিয়ে থেকে মুক্তি পেতে আদালতের দ্বারস্থ হন রেখা। অবশেষে শৈশবে হওয়া সেই বিয়ে বৈধ নয় বলে রায় দিয়েছেন রাজস্থানের আদালত। ২০ বছর পর সেই বিয়ে থেকে মুক্তি পেয়ে খুশি তরুণী।
জানা গেছে, মাত্র এক বছর বয়সে প্রতিবেশী আরেক শিশুর সঙ্গে রেখার বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর বাপের বাড়িতেই থাকতেন রেখা। কিন্তু বছর খানেক আগে রেখাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন শ্বশুরবাড়ির লোক। ছোটবেলায় বিয়ে হলেও বড় হওয়ার পর তাদের ফের একবার বিয়ে দেওয়ার প্রথা রয়েছে রাজস্থানের কিছু কিছু এলাকায়। প্রথাটির নাম ‘গৌনা’। সেই বিয়ে মানতে পারেনি রেখা। এ বিয়ে থেকে মুক্তি চেয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দ্বারস্থ হন রেখা।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক কর্মকর্তার দাবি, রেখা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোক সালিশ বসান। সেখানে বলা হয়, বিয়ে অস্বীকার করলে ১০ লাখ রুপি ‘ক্ষতিপূরণ’ দিতে হবে। উপায় না দেখে রাজস্থানের একটি আদালতে যান রেখা। রেখার আবেদনে সাড়া দিয়ে কোর্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এক বছর বয়সে হওয়া সেই বিয়ে আইনসিদ্ধ নয়।
শুনানিতে বিচারক প্রদীপকুমার মোদী জানান, ১০০ বছরের চেষ্টাতেও বাল্যবিবাহের মতো প্রথা দূর করা সম্ভব হয়নি। সবারই বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত।
সংবাদমাধ্যমে রেখা জানিয়েছেন, পড়াশোনা করতে চান তিনি। হতে চান নার্স।