Saturday, September 7, 2024
Homeঅর্থনীতিচিনির সংকট কাটবে আজ থেকেই!

চিনির সংকট কাটবে আজ থেকেই!

বেসরকারি চিনিকলের মালিক ও চিনি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশে অপরিশোধিত চিনির কোনো ঘাটতি নেই। গ্যাস না পাওয়ায় চাহিদামতো চিনি পরিশোধন করতে পারেনি মিলগুলো। ফলে বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। তবে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। সোমবার (গতকাল) রাত থেকেই মিলগুলো চিনির সরবরাহ স্বাভাবিক করে। ফলে মঙ্গলবার (আজ) থেকেই বাজারে চিনির সংকট কেটে যাবে।

গতকাল সোমবার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তারা এ প্রতিশ্রুতি দেন। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সভা হয়। সভার শুরুতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এতে দেখা যায়, দেশে বর্তমানে অপরিশোধিত চিনির ঘাটতি নেই। যে পরিমাণ চিনি মজুদ রয়েছে, তা দিয়ে তিন থেকে চার মাসের চাহিদা পূরণ সম্ভব।

কমিশনের উপ-পরিচালক মাহমুদুল হাসান প্রতিবেদনে বলেন, সরকারি নির্দেশনায় রবিবার পর্যন্ত (২৩ অক্টোবর) তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। সেখানে আমরা দেখেছি, দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ টন। এর মধ্যে সরকারি মিলে আখ থেকে উৎপাদন হয় ৩০ থেকে ৩২ হাজার টন। বাকিটা আমদানি করা অপরিশোধিত চিনি, যা পরিশোধন করে বেসরকারি কোম্পানিগুলো বাজারে সরবরাহ করে। অর্থাৎ চিনির বাজার ৯৫ শতাংশের বেশি তাদের নিয়ন্ত্রণে।

জানা গেছে, সিটি গ্রুপের মিলে এখন পর্যন্ত অপরিশোধিত ৩৮ হাজার টন চিনি মজুদ রয়েছে। এ ছাড়া পাইপলাইনে আছে আরও ৬১ হাজার টন। মেঘনা গ্রুপে ২৩ হাজার টন অপরিশোধিত মজুদ ও পাইপলাইনে আছে ৫৫ হাজার টন। একইভাবে এসআলম গ্রুপের কাছে ৬৬ হাজার টন মজুদ এবং ১ লাখ ১০ হাজার টন পাইপলাইনে আছে। অবদুল মোনেম সুগার রিফাইনারির কাছে মজুদ আছে ২২ হাজার টন আর পাইপলাইনে রয়েছে ৫০ হাজার টন। দেশবন্ধুর কাছে ৪ হাজার টন মজুদ এবং ৫৫ হাজার টন পাইপলাইনে রয়েছে।

অর্থাৎ দেশে এখন ১ লাখ ৫৪ হাজার টন অপরিশোধিত চিনির মজুদ রয়েছে। পাইপলাইনে আছে ২ লাখ ২১ হাজার টনের মতো। অর্থাৎ মজুদ চিনি দিয়ে দেশের ৩৫ থেকে ৪০ দিন চাহিদা পূরণ সম্ভব। আর পাইপলাইনের চিনি হিসাবে নিলে ৩ মাসের বেশি সময় চলবে।

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular