স্ত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন না স্বামী। উল্টো তিনি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। এমন ঘটনা ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে। খবর এনডিটিভির।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, শবিতা গুপ্তা নামের ওই নারীর সঙ্গে সঞ্জয় গুপ্তার ৫ বছর আগে বিয়ে হয়। গতকাল মঙ্গলবার শবিতা আত্মহত্যা করে মারা গেছেন। তার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া ছিল। অভিযুক্ত সঞ্জয়কে জেরা করা হচ্ছে।
রিপোর্ট, শবিতা আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন- আর সঞ্জয় তা মোবাইলে ধারণ করেছেন এমন একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে, শবিতা গলায় স্কার্ফ দিয়ে বিছানার ওপরে ফ্যানে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছিলেন। আত্মহত্যা প্রায় করেই ফেলছিলেন এমন মুহূর্তে সঞ্জয়কে বলতে শোনা যায়, এই তোমার মন-মানসিকতা। তোমর মন মানসিকতা অনেক ছোট। এর পর বিছানায় দাঁড়িয়ে থাকা শবিতাকে গলার ফাঁস খুলতে দেখা যায় এবং সঞ্জয়ের দিকে তাকাচ্ছিলেন। এই সময় পর্যন্ত ভিডিও ছিল।
শবিতার বাবা রাজ কিশোর গুপ্তা বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে তিনি তার জামাইয়ের কাছ থেকে একটি ফোন পান। তাকে বলা হয়, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এর পর পরিবারের লোকজন দ্রুত মেয়ের বাড়িতে যায় এবং দেখতে পান সঞ্জয় শবিতাকে সিপিআর দিচ্ছেন।
এরপর সঞ্জয় তার শ্বশুরকে ভিডিওটি দেখান। দাবি করেন তার মেয়ে প্রথমবার আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাকে তিনি বাঁচান। শবিতার বাবা বলেন, সঞ্জয়ের আচরণ অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।
রাজ কিশোর বলেন, আমরা দেখতে পাই সঞ্জয় শবিতাকে হাসপাতালে না গিয়ে তার বুকে পাম্প করছে। সঞ্জয় আমাদের একটি ভিডিও দেখিয়ে বলে শবিতা এর আগে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। সে তাকে থামায়নি কিন্তু ভিডিও করেছে। এটা দুপুর সাড়ে ১২ টায় ঘটেছিল। এরপরেই শবিতা মারা গেছে, যা অনেক সন্দেহজনক।
পরবর্তীতে শবিতাকে তার পরিবার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিতসেরা শবিতাকে মৃত ঘোষণা করেছে। এর পরে তারা পুলিশের কাছে যান। পরিবারের পক্ষ থেক ন্যায় বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।