Home ফিচার অস্বাভাবিকভাবে এলসি খোলায় ডলার সংকট: জানালেন গভর্নর

অস্বাভাবিকভাবে এলসি খোলায় ডলার সংকট: জানালেন গভর্নর

0

আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে দেশে আর ডলার সংকট থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ। তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে অস্বাভাবিকভাবে এলসি খোলা হয়েছে। এটি আমরা কমিয়েছি। আগামী জানুয়ারি থেকে ডলার সংকট আর থাকবে না বলে আশা করছি।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ সংক্রান্ত সেমিনারে এসব কথা বলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এই সেমিনারের আয়োজন করে।

গভর্নর বলেন, ‘আগামী জানুয়ারি মাস থেকে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট আর থাকবে না। এখনও কোনো সংকট নেই, তবে দেশে আন্ডার ইনভয়েসিং (কম মূল্য দেখানো) ঠেকাতে আমরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ওভার ইনভয়েসিং (বেশি মূল্য দেখানো) এবং আন্ডার ইনভয়েসিং শূন্যতে নামিয়ে রাখা গেছে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য উৎপাদন কাজে নিয়োজিত শ্রমিক, কৃষক এবং রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আর্থিক কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। এখানে ঘাটতি আছে। কে আমাদের কোথায় কী সার্টিফিকেট দিল, সেটা বিষয় নয়।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। ২০২৬ সালের আগেই এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএর মতো চুক্তি স্বাক্ষর করে বাণিজ্য সুবিধা আদায় করার জন্য আমরা অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিভিন্ন বিধিবিধানের আলোকে বাংলাদেশ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। ২০৩০ সালের আগেই সফলভাবে এসডিজি অর্জন করে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যাবে, এ জন্য নিজ নিজ অবস্থানে থেকে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক। ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্টসহ বেশ কিছু বড় বাজার রয়েছে আমাদের। আমাদের প্রতিবেশী ভারতেও আমাদের তৈরি পোশাক রফতানি হচ্ছে। ভারত একটি বড় বাজার, সেখানেও রফতানি বাড়ছে। তৈরি পোশাক রফতানি বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। একটি পণ্যের ওপর রফতানি খাতকে ধরে রাখা ঠিক হবে না। আমাদের রফতানি পণ্য সংখ্যা বাড়াতে হবে, একই সঙ্গে রফতানি বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। এ জন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’ সেমিনারে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের সময় বিশ্বের অন্যান্য দেশ যে ধরনের ট্যারিফ পলিসি (শুল্কনীতি) নেয়, বাংলাদেশেরও তা নেওয়া দরকার।’

সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন ডেলিগেশনের ডেপুটি হেড অব মিশন ড. বার্ন্ড স্পেনিয়ার, র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রাহমান এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here