ক্ষমতায় গেলে কী কী করবে সে লক্ষ্যে ‘রাষ্ট্র মেরামত’ নামে একটি রূপরেখা প্রস্তুত করেছে বিএনপি। এই রূপরেখায় সংবিধানে স্থায়ীভাবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদ প্রবর্তন, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি নিয়োগ আইন, সাংবিধানিক সংস্কার, প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠনসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কথা বলা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ২৭ দফার রূপরেখা আজ সোমবার ঘোষণা করা হবে।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আজকে দেশের এই পরিস্থিতির জন্য বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি সবাই দায়ী। ২৭ দফা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যাবে তা ভাবার কোনো কারণ নেই। এই রূপরেখা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর মানসিকতারও পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে কোনো কিছুই পরিবর্তন হবে না।
জানতে চাইলে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আমাদের সময়কে জানান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভিশন ২০৩০’ এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গাইডলাইন অনুযায়ী এই রূপরেখা প্রস্তুত করা হয়েছে। সোমবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির পক্ষ থেকে এই রূপরেখা জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
এই রূপরেখা প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত বিএনপি নেতারা বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরেও রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে হাত দেওয়া হয়নি। বিএনপির ভাষ্যমতে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গত ১৪ বছর টানা ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে ‘দুর্নীতি ও দলীয়করণ’ করে রাষ্ট্রকে মেধাশূন্য ও ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। এ অবস্থায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ পেলে আন্দোলনরত দলগুলোর সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে রাষ্ট্র মেরামতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।