Monday, September 16, 2024
Homeবিশ্বযুক্তরাষ্ট্র অনেক বিষয়ে আগে থেকেই ‘স্মার্ট’

যুক্তরাষ্ট্র অনেক বিষয়ে আগে থেকেই ‘স্মার্ট’

একটি ‘স্মার্ট সিটি’ বা দেশ বলতে যা বুঝায়, তার একটা স্বাদ মেলে যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এসে স্মার্ট সিটির ধারণা নিয়ে এগোচ্ছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ অনেক আগেই ‘স্মার্ট সিটির’ স্বাদ পাচ্ছেন। একটা স্মার্ট সিটির যেসব সুযোগ-সুবিধা, সেগুলোর সবই পান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টেটের নাগরিকরা এক ক্রেডিট কার্ড দিয়েই কেনাকাটা থেকে শুরু করে বাস কিংবা মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধÑ সবই করতে পারেন। আর বাংলাদেশে প্রত্যেকটা যানবাহনেই আলাদাভাবে মূল্য পরিশোধ করতে হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে মেট্রোরেল কিংবা সিটি বাসÑ সব নগর পরিবহনে একই ভাড়া। দূরত্ব কোনো বিষয় নয়। বাস বা মেট্রোতে একবার উঠলেই কেটে নেয় ২ ডলার ৭৫ সেন্ট, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৯০ টাকার মতো। এই টাকায় পুরো নিউইয়র্ক সিটি ঘুরে বেড়ানো যাবে। প্রতিবার নগর পরিবহনে ওঠার সময় কার্ড দিয়ে ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। মেট্রোতে বা বাসে একই কার্ড। মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোটেশন অথরিটির (এমটিএ) কার্ড থাকলে পুরো নিউইয়র্ক ঘুরে বেড়ানো যায়। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা সেখানকার নাগরিক সুবিধায় অভ্যস্ত। নিউইয়র্ক

পুলিশ ডিপার্টমেন্টে (এনওয়াইপিডি) কাজ করেন অনেক বাংলাদেশি। এখানেও স্মার্ট সিটির ছোঁয়া। পুলিশের চাকরির জন্য উচ্চতা বা বয়স বিষয় নয়। এখানে চাকরি পেতে হলে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই সুযোগ মিলে যায়। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমানা নেই; অবসরে যাওয়ার বয়সসীমা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। কোনো নাগরিক ৫৯ বছরেও সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারেন।

এনওয়াইপিডিতে চাকরি করেন মো. রিয়াজ উদ্দীন। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমি ডিবি লটারির মাধ্যমে এসেছি। প্রথমে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। হোটেলে, দোকানে কাজ করেছি। ডেলিভারি ম্যান হিসেবেও কাজ করেছি। যখন পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কাজ করার সুযোগ এলো, আমি আবেদন করি। সব প্রক্রিয়া শেষ করে বসে থাকি। হঠাৎ একদিন ডাক আসে।’

রিয়াজ উদ্দীন বলেন, ‘এখানে চাকরিতে যোগদানের বয়স নেই। অবসরের বয়স আছে। কোন দেশের কোন ধর্মের কোন এলাকার মানুষÑ এসব এখানে কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়। চাকরির একমাত্র যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগেই বাংলাদেশের অনেক লোক কাজ করেন।’

স্মার্ট সিটির আরেকটি নজির মেলে স্বাস্থ্যসেবায় নজর দিলে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রত্যেকের রয়েছে স্বাস্থ্য বীমা (হেলথ ইন্স্যুরেন্স)। ডাক্তার দেখানো, পরীক্ষা-নীরিক্ষা, ওষুধÑ সব খরচই জীবনবীমার মাধ্যমে মিলবে। আর ডাক্তার দেখানোর পর রোগীর হাতে কোনো ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) যায় না। সেটি সরাসরি চলে যায় নির্ধারিত ওষুধের দোকানে। সেখানে গিয়ে আইডি বা ইন্স্যুরেন্স কার্ড দিলেই ওষুধ মিলবে।

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular