Sunday, September 8, 2024
Homeঅর্থনীতিডিম-মুরগির দাম চড়া, রসুন-ডালেও তাই

ডিম-মুরগির দাম চড়া, রসুন-ডালেও তাই

ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম হঠাৎ আবার বেড়ে গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর বাজারগুলোয় প্রতিকেজি ১৮৫ টাকাও নেওয়া হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও যা ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকার মধ্যে ছিল। আর ডজনপ্রতি ফার্মের ডিমের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের সরবরাহ কমে যায়। এ কারণে মুরগি ও ডিমের দাম বেড়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে মালিবাগ বাজারে গিয়ে ব্রয়লার দাম শুনে একরকম রেগেই গেলেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. কাইয়ূম চৌধুরী। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবারেও ১৫৫ টাকা কেজি কিনেছি, আজ এসে শুনি ১৮০ টাকা।

পাশের মুরগি বিক্রেতা মো. ফারুক বলেন, ‘মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। শীতের কারণে এটা হতে পারে। সেটা হলেও দাম এত বাড়ার কথা নয়।’

কেনা দাম ও বিক্রির দাম নিয়ে এ মুরগি বিক্রেতা বলেন, ‘পাইকারিতে আমাদের দাম পড়ে প্রতিকেজি ১৬৮ থেকে ১৭২ টাকা পর্যন্ত। এটা বিক্রি করছি ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা পর্যন্ত। গত

সপ্তাহে এমন সময় দাম ছিল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। তার আগের সপ্তাহের মাঝামাঝি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকাও বিক্রি করেছি। দাম এত কেন বাড়ছে, আমাদের জানা নেই। আমরা কেনা দাম অনুযায়ী বিক্রি করি।’

এ বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. রুহুল আমিন জানান, মুরগির মতো ডিমের দামও লাফিয়ে বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ১২৫ টাকা ডজন থেকে কয়েক ধাপে দাম বেড়ে এখন ১৪০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। তিনি বলেন, ১০০টি ডিমের কেনা দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। এখন ১০০টির দাম পড়ছে এক হাজার ৮০ টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে ডিমের ডজন ১৩৫ টাকার নিচের বিক্রির সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে পোলট্রি খামারের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, খাবার ও মুরগির বাচ্চার দাম বেড়ে গেছে। এর প্রভাবে খুচরায় মুরগির দাম বেড়েছে।

রোজার অনেক আগেই ডালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে এক কেজি অ্যাংকর ডাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় পাওয়া গেছে। এখন হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। গত বছর এ সময় অ্যাংকর ডাল ৪৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে ছিল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানিনির্ভর হওয়ায় এ ডালের দাম বেড়েছে।

মসুর ডালের বাজারও চড়া। ছোট দানার মসুরের কেজি ১৪০ টাকায় ঠেকেছে। মাঝারি ও বড় দানার মসুর পাওয়া যাচ্ছে ৯৫ থেকে ১২০ টাকায়।

মাছের বাজারেও স্বস্তি নেই। যেসব চাষের মাছের দাম বছরজুড়ে স্থিতিশীল থাকে, সেগুলোর দামও বেড়েছে। তেলাপিয়া সাধারণত ১৫০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়; এখন তা ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। একই অবস্থা পাঙ্গাসেও। কুচো চিংড়ির কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা।

এবারের পুরো শীত মৌসুমে সবজির দাম খুব একটা কমেনি। দু-চার টাকা বাঁচাতে ফুটপাত থেকে সবজি কিনে খাচ্ছেন অল্প আয়ের মানুষ।

কদমতলী সাদ্দাম মার্কেটে বাজার করতে আসা রিকশাচালক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বাজারের দোকানে অনেক দাম। তাই সড়কের পাশ থেকে কিনলাম। এখানে বেছে বেছে কিনতে হয়, এই আর কি। আয়-রোজগার কম, চলতে তো হবে!’

বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম এখনো ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। কাঁচামরিচের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে যা ১০০ টাকার নিচে ছিল।

এদিকে পেঁয়াজের কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে থাকলেও রসুনের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে। আমদানি করা রসুনের কেজি এখন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। সপ্তাহ দুয়েক আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৭০ টাকার মধ্যে। খোলা চিনির কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular