Sunday, September 8, 2024
Homeঅর্থনীতিরোজার পণ্যের দাম বেড়েছে

রোজার পণ্যের দাম বেড়েছে

দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে তেল, চিনি, ছোলা, ডালসহ রমজানের প্রায় সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। জানুয়ারি মাসে খোলা এলসির পণ্য রমজানের আগে বাজারে না পৌঁছলে সংকট তৈরির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা রোজায় সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন। তবে রমজানের আগেই দাম বৃদ্ধির কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তারা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবসায়ীরা প্রতিবছরই বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। রোজা শুরুর এক থেকে দেড় মাস আগে দাম বাড়িয়ে দেয়। সেই পণ্য কিনে খুচরা বিক্রেতারা বাজারে বিক্রি করে। রমজানে বড় ব্যবসায়ীরা দাম কমালেও সেই প্রভাব খুচরায় পড়ে না। অন্যদিকে খুচরা বিক্রেতাদের জরিমানা করে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকে প্রহসন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সরকারের কঠোর নজরদারির পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে এসব কারসাজি বন্ধ হবে না বলে মনে করেন তারা।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছর রমজানের বাড়তি চাহিদা মেটাতে বড় শিল্পগ্রুপের পাশাপাশি মাঝারি ব্যবসায়ীরাও ভোগ্যপণ্য আমদানি করতেন। ব্যাংকে ডলার সংকটে এবার তারা সে সুযোগ পাননি। ফলে পুরো দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তারা রমজানের আগে বাজারে সরবরাহ না বাড়ালে দাম আরও বাড়বে।

গতকাল বৃহস্পতিবার খাতুনগঞ্জে প্রতিমণ পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৫৮০ টাকায়। সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার ৩৫০ টাকায়। চিনি (এস আলম) প্রতিমণ ৩ হাজার ৮৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। তবে মেঘনা গ্রুপের চিনি বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৯২০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে পাম তেলের মণ বিক্রি হয়েছিল সাড়ে ৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া সয়াবিন ৬ হাজার ১০০, চিনি ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা বিক্রি হয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানিকৃত উন্নত জাতের প্রতি কেজি ছোলা গতকাল বিক্রি হয়েছে ৯৪ টাকায়; একই মানের ছোলা গত বছর ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তানজানিয়া ও ভারতের ছোলা বিক্রি হয়েছে ৮২ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে প্রতি কেজি ছোলায় দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। একইভাবে মসুর ডাল, খেসারি, মটরের দামও বেড়েছে ৩ থেকে ১০ টাকা।

দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের ডাল ও ছোলা আমদানি করেন চাক্তাই খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি সোলাইমান বাদশা। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, অনেক ব্যাংক ঘুরেও এলসি পাইনি। প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ কনটেইনার ডাল জাতীয় পণ্য আমদানি করলেও এবার সম্ভব হয়নি। তিনি জানান, গতকাল অস্ট্রেলিয়ার ভালো মানের মসুর ডাল (মোটা) বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা দরে। দেশি চিকন মসুর ডাল ১৩৬, ভারতীয় ১৩২ টাকায় বিক্রি হয়। অস্ট্রেলিয়ার মোটা জাতের ডালে ৩ এবং দেশীয় ও ভারতীয় জাতের ডালে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। কানাডা থেকে আমদানি করা সাদা মোটা সাত দিন আগে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হলেও তিন টাকা বেড়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫৯ টাকায়। খেসারি ও মটর ডালে ৪-৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৭৬ থেকে ৮০ টাকায়। অস্ট্রেলিয়ার মটর ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৬৩ টাকায়।

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular