ইউক্রেনীয়দের ‘হত্যার’ তালিকা করছে রাশিয়া, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

0
165

রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা সমাবেশ ঘটানোর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে আসছে যে, যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে মস্কো। তবে এবার আরেকটি ‘বিস্ফোরক’ দাবি করেছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধে যেসব ইউক্রেনীয়দের ‘হত্যা করা হবে কিংবা ক্যাম্পে পাঠানো হবে’ তার তালিকা রাশিয়া ইতোমধ্যে করে ফেলেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জাতিসংঘকে এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র একটি চিঠিও পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।

চিঠিটির খবর এমন সময় সামনে এলো যখন ইউক্রেন সীমান্তের রুশ সেনা উপস্থিতি নিয়ে যুদ্ধের শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। ইউক্রেনে সম্ভাব্য ‘মানবাধিকার বিপর্যয়’ সম্পর্কেও বারবার সতর্ক করে আসছে ওয়াশিংটন।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন যুদ্ধে যেসব ইউক্রেনীয়দের হত্যা করা হবে বা ক্যাম্পে পাঠানো হবে রাশিয়ান বাহিনী তার তালিকা তৈরি করেছে এমন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটকে সম্বোধন করা চিঠিতে বলা হয়েছে, আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে যে রাশিয়ান বাহিনী সম্ভবত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে কিংবা বেসামরিক জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ মোকাবেলা করতে প্রাণঘাতী ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনে চলমান সংকট নিরসনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় ‘নীতিগতভাবে’ সম্মত হয়েছেন বলে স্থানীয় সময় গভীর রাতে হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বাইডেন-পুতিনের সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের বৈঠক শেষেই দুই দেশের শীর্ষ ব্যক্তিরা সাক্ষাৎ করবেন।

এলিসি প্রাসাদ সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রোববার ফোনে বাইডেন-পুতিন দুজনের সঙ্গেই কথা বলে ওই বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউরোপের নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষ আলোচনায় বসবে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এই আলোচনায় সব পক্ষের মধ্যে সমন্বয় করবেন।

সাবেক সোভিয়েতভুক্ত ইউক্রেন কয়েক বছর আগে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে আগ্রহের কথা জানায়। এরপর থেকেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনার শুরু।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, গত দুই মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখেরও বেশি সেনা মোতায়েন রেখেছে। ইউক্রেনে হামলা করতেই এই সৈন্য সমাবেশ। মস্কো অবশ্য বারবার বলছে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই; ন্যাটোর তৎপরতা থেকে নিজেদের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে তাদের এই প্রয়াস। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সদস্যরা মস্কোর এই বক্তব্যে আস্থা রাখতে পারছে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here