ইউক্রেনের দুই অঞ্চলে পুতিনের সেনা পাঠানোর নির্দেশের পর একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে রাশিয়া। দেশটির ওপর প্রথম নিষেধাজ্ঞাটি আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। গতকাল মঙ্গলবার এসেছে এই নিষেধাজ্ঞা।
যুক্তরাষ্ট্রও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। নিষেধাজ্ঞা এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকেও। রাশিয়ার সঙ্গে গ্যাস পাইপলাইনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে জার্মানি। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি।
রাশিয়া আন্তর্জাতিক সব আইন লঙ্ঘন করে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তার দেশ যুদ্ধে জড়াতে চায় না। তবে ন্যাটো অঞ্চলের এক ইঞ্চি ভূমিও ছাড়বে না।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে চাওয়ার পর থেকে উত্তেজনা চলছে কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে। রাশিয়া কোনোভাবেই তাদের পাশের দেশে ন্যাটোকে জায়গা দিতে চায় না।
এর আগে গত সোমবার রাশিয়া ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়। এরপর সেখানে সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।
পরে দোনেৎস্ক শহরের ভেতর দিয়ে রাশিয়ার ট্যাংক এবং সামরিক বহর যেতে দেখা যাওয়ার খবর মেলার পরপরই রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞার খবর আসতে থাকে বিবিসি, সিএনএনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার তিনটি ব্যাংক এবং তিন ধনকুবেরের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ রোসিয়া, আইএস ব্যাংক, জেনারেল ব্যাংক, প্রোমসভায়াজ ব্যাংক এবং ব্ল্যাক সি ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন জনসন।
আর তিন ধনকুবের হচ্ছেন- গেনেদি তিমচেনঙ্কো, বরিস রোটেনবার্গ এবং ইগোর রোটেনবার্গ। নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাজ্যে তাদের সব সম্পদ জব্দ করা হবে এবং দেশটিতে তাদের ভ্রমণও নিষিদ্ধ থাকবে। যুক্তরাজ্যের কোনো নাগরিক তাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করা কিংবা সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।