রোজা ভঙ্গ হয় না যেসব কারণে

0
66

বিশ্বজুড়ে এখন রমজান মাস চলছে। রমজান হচ্ছে মুসলিমবাসীর জন্য অতিরিক্ত সওয়াব লাভের সময়। এ মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অন্যান্য সময়ের থেকে বেশি। রমজানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সৃষ্টিকর্তার ইবাদতে একটু বেশিই ব্যস্ত থাকে। এই মাস সম্পর্কে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘৩ ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। যখন রোজাদার ব্যক্তি ইফতার করে, ন্যায়পরায়ণ শাসক ও নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া।’ (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজি)

রমজানে সম্ভবপর সকল মুসলিমই রোজা রাখেন। এই সময় এমন কিছু কাজ ভুল করে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়ে যায় যার জন্য মনে হয় রোজা ভঙ্গ হয়েছে। অথবা যে কাজগুলোকে আমাদের কাছে রোজা ভঙ্গের কারণ হিসেবে মনে হয়। অথচ সেসব কাজের জন্য রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।

যে কাজগুলো প্রকৃত অর্থে রোজা ভঙ্গের কোনো কারণ নয় সেসব এবার জেনে নেওয়া যাক-

১. অনিচ্ছাকৃত বা ভুল করে গলার ভেতরে ধুলাবালি, মশা-মাছি অথবা ধোঁয়া প্রবেশ করা।

২. অনিচ্ছাকৃত বমি অথবা ইচ্ছাকৃত অল্প বমি করা। তবে মুখ ভর্তি নয়।

৩. বমি আসার পর আপনা-আপনি (নিজে নিজে) ফিরে যাওয়া।

৪. অনিচ্ছাকৃতভাবে কানের ভেতর পানি প্রবেশ করা।

৫. ইনজেকশন নেওয়া।

৬. ভুলক্রমে পানাহার বা ভুল করে কিছু খেয়ে ফেলা।

৭. চোখে ওষুধ নেওয়া বা সুরমা ব্যবহার করা।

৮. কোনো কিছুর ঘ্রাণ নেওয়া কিংবা সুগন্ধি ব্যবহার করা।

৯. নিজ মুখের থুথু, কফ ইত্যাদি গলাধঃকরণ করা।

১০.শরীর ও মাথায় তেল ব্যবহার করা।

১১. হুক্কা, সিগারেট, চুরুট ইত্যাদি পান করলেও রোজা ভেঙে যায়; যদিও নিজে ধারণা করে যে, কণ্ঠনালী পর্যন্ত ধোঁয়া পৌঁছেনি।

১২. ঠান্ডার জন্য গোসল করা।

১৩. মিসওয়াক করা। তবে মিসওয়াক করার ফলে দাঁত থেকে বের হওয়া রক্ত যেন গলার ভেতর না যায়।

১৪. নাকের ছিদ্র দিয়ে ঔষধ প্রবেশ করালে রোজা ভেঙে যাবে।

১৫. চোখের পানি মুখের ভিতর চলে গেলে আর সেটা গিলে ফেললে। যদি দুয়েক ফোঁটা হয় তবে রোজা ভাঙবে না। আর যদি বেশি হয়, যার ফলে সেটার লবণাক্ততা মুখে অনুভূত হয়। তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। ঘামের ক্ষেত্রেও একই বিধান।

১৬. রক্তদান করলে রোজার ক্ষতি নেই; তবে গ্রহণ করলে রোজা ভেঙে যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here