অনিয়মের অভিযোগ তোলায় ইউপি সদস্যদের পেটালেন চেয়ারম্যান!

0
71

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মালিখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুলের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে ১১ জন ইউপি সদস্য অনাস্থাপত্র দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ জন নারী ও ৮ জন পুরুষ সদস্য।

এই অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরায় ইউপি সদস্যদের পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুলের বিরুদ্ধে। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আজ শনিবার দুপুরে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে নাজিরপুর উপজেলার ২ নম্বর মালিখালী ইউপির ১১ জন সদস্য সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা চেয়ারম্যানকে অপসারণের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনোজ কান্তি মণ্ডল বলেন, গত ১৬ মার্চ ইউপির ১১ জন সদস্য জেলা প্রশাসক ও নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুলের নামে অনাস্থাপত্র দিয়েছেন। গত ৭ এপ্রিল নাজিরপুরের ইউএনও শেখ আব্দুল্লাহ সাদিদ ওই ১১ জন ইউপি সদস্যকে তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। ইউএনওর নির্দেশে ৭ এপ্রিল তার কার্যালয়ে যাওয়ার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাজিরপুর হাসপাতালের সামনে চেয়ারম্যান বাবুলের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন দুর্বৃত্ত তাদের ওপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করে। এ সময় আটজন আহত হন। তাদের মধ্যে ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কদম আলী শেখ, মনোজ কান্তি মণ্ডল, নারী সদস্য নাসরিন আক্তার গুরুতর আহত হন।

আহতরা নাজিরপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও তাদের ওপর হামলা চালিয়ে হাসাপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে পিরোজপুর জেলা জেনারেল হাসপাতালে তারা চিকিৎসা নেন। এখনো কদম আলী শেখ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, চেয়ারম্যান বাবুলের নেতৃত্বে নজরুল ইসলাম বাবুল, নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আল-আমিন শেখ, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য শান্ত ইসলাম শোভন, পল্লব রায়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশিকুল ইসলামসহ ২৫-৩০ তাদের মারধর করেন। পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বড় ভাই নজরুল ইসলাম বাবুল।

তবে নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, তিনি ঘটনার তিন পিরোজপুরে ছিলেন না। মারধরের ঘটনায় তার নাম নিয়ে আসার ঘটনাটি সাজানো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here