মুরাদ হোসেন লিটন : আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বেড়েছে। এখন এক ভরি স্বর্ণ কিনতে ব্যয় করতে হবে ৭৮ হাজার ৮৪৯ টাকা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।
বাজুসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বুলিয়ন মার্কেটে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে।
গত ৮ মার্চ দেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। তার চার দিন আগে ৪ মার্চ বাড়ানো হয়েছিল ভরিতে ৩ হাজার ২৬৫ টাকা।
এরপর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমতে শুরু করায় গত ১৫ মার্চ দেশের বাজারে ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। ২১ মার্চ কমানো হয় ভরিতে আরও ১ হাজার ৫০ টাকা।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় দেশের বাজারে সব মানের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি মুহূর্তে গোল্ডের দাম ওঠানামা করছে। এই বাড়ছে তো, ওই কমছে। তিন সপ্তাহ ধরে দাম বেশ খানিকটা বেড়েছে। সে কারণে আমরাও বাড়িয়েছি।’
বিশ্ববাজারে সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম, ২.৬৫ ভরি) স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৯৫২ ডলার ৯৫ সেন্ট।
মঙ্গলবার থেকে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ কিনতে লাগবে ৭৮ হাজার ৮৪৯ টাকা। সোমবার পর্যন্ত এই মানের স্বর্ণ ৭৮ হাজার ১৪৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বেড়েছে ১ হাজার ৭৫০ টাকা।
২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম একই পরিমাণ বেড়ে ৭৫ হাজার ৩৪৯ টাকা হয়েছে। গত তিন সপ্তাহ ৭৪ হাজার ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এই মানের স্বর্ণ। ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৪৫৮ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬৪ হাজার ৫৬০ টাকা। সোমবার পর্যন্ত ৬৩ হাজার ১০২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫৩ হাজার ৮২৯ টাকা। ৫২ হাজার ৬০৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে এই তিন সপ্তাহ। তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।