বগুড়ার শেরপুরে বিয়ের ৯ মাসের মাথায় মিম আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের রণবীরবালা গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী শাকিল আহম্মেদকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৯ মাস আগে উপজেলার রণবীরবালা গ্রামের রবিউল ইসলামে ছেলে শাকিল আহম্মেদের সঙ্গে পাশের কাফুরা পূর্বপাড়া গ্রামের মজনু আকন্দের মেয়ে মিম আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এরই মধ্যে আসন্ন ঈদুল ফিতরে নতুন শাড়ি কিনে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে পরের দিন সকালে শয়নকক্ষে ওই গৃহবধূর লাশ পাওয়া যায়।
নিহতের বাবা মজনু আকন্দ বলেন, তার মেয়েকে শ্বাসরোধ ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে মিমের স্বামীর বাড়ির লোকজন। তাই এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে নিহতের স্বামী শাকিল আহম্মেদ বলেন, ঈদে নতুন শাড়ি কেনা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরবর্তীতে রাতের কোনো এক সময় সবার অজান্তে গলায় রশি লাগিয়ে নিজেই আত্মহত্যা করে মিম।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজ বলেন, ওই গৃহবধূর মৃত্যু রহস্যজনক। তার গলায় আঘাতের কালো চিহ্ন রয়েছে। তাই লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী শাকিলকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।