যৌতুক না দেওয়ায় গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ

0
66

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া গ্রামে যৌতুক না দেওয়ায় সুমী আকতার(১৭) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহত গৃহবধূর স্বামী হৃদয় হাওলাদার ও শাশুড়ি জেসমিন বেগমকে আটক করেছে ।

সুমীর নানা সাকায়েত ফরাজী জানান, ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারুক হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদারের সঙ্গে তার নাতনি সুমী আকতারের সাথে প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে প্রায় এক বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-কলহ লেগেই থাকতো। শাশুড়ি যৌতুক হিসাবে সুমীর মায়ের নিকট থেকে একটি মোটরসাইকেল কেনার টাকা আনতে চাপ দিচ্ছিলো। টাকা না আনায় সুমীর স্বামী, শ্বশুড়, শাশুড়ি ও ননদ মিলে তাকে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে অমানবিক নির্যাতন করেন। নির্যাতনের ফলে সুমীর মৃত্যু হয়েছে। পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমীকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন মরদেহ নিয়ে তারা দ্রুত বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে তারা বিষ খাওয়ার ঘটনা রটিয়েছে।

এ ঘটনায় নিহত সুমীর নানা সাকায়েত ফরাজী বাদী হয়ে গতকাল রাতে সুমীর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে ইন্দুরকানী থানায় হত্যার লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তবে অভিযুক্তরা বলছেন, যৌতুকের জন্য নয়, স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্যের কারণে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে সুমী। সুমীর শ্বশুড় ফারুক হাওলাদার বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য হলে ঘরে থাকা চাউলের পোকার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুমী, যৌতুকের জন্য নয়।

ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত্যু নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here