বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা আজ। দেশের প্রতিটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী আজ সাড়ম্বরে এ উৎসব উদযাপন করবেন। ‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ এই অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব, বোধিপ্রাপ্তি আর মহাপরিনির্বাণের স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বুদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে উদযাপন করেন বুদ্ধ ভক্তরা। বৌদ্ধ ধর্ম মতে, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবিভর্‚ত হয়েছিলেন। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বৌদ্ধ সাহিত্য থেকে জানা যায় যে, পূর্বজন্মে বোধিসত্ত¡ সব পারমি পূরণ করে যখন সন্তোষকুমার নামে স্বর্গে অবস্থান করছিলেন, তখন দেবগণ তাকে জগতের মুক্তি এবং দেবতা ও মানুষের নির্বাণ পথের সন্ধান
দিতে মনুষ্যকুলে জন্ম নিতে অনুরোধ করেন। দেবতাদের অনুরোধে বোধিসত্ত¡ সর্বদিক বিবেচনাপূর্বক এক আষাঢ়ি পূর্ণিমায় স্বপ্নযোগে মাতৃকুক্ষিতে প্রতিসন্ধি গ্রহণ করেন এবং পরবর্তী এক শুভ বৈশাখী পূর্ণিমায় জন্ম লাভ করেন। তার জন্ম হয়েছিল লুম্বিনী কাননের শালবৃক্ষ ছায়ায় উন্মুক্ত আকাশতলে। তার নিকট জাতি, শ্রেণি ও গোত্রের কোনো ভেদাভেদ ছিল না। গৌতম মানুষকে মানুষ এবং প্রাণীকে প্রাণীরূপেই জানতেন এবং এর প্রাণসত্তার মধ্যেই যে কষ্টবোধ আছে তা তিনি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতেন। তাই তিনি বলেছিলেন, জগতের সব প্রাণী সুখী হোক।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আজ সারাদেশে রাষ্ট্রীয় ছুটি। এ দিনের শুরুতে শান্তি শোভাযাত্রা এবং বৌদ্ধ মঠ ও মন্দিরগুলোতে দিনব্যাপী প্রদীপ প্রজ্বালন, পূজা ও প্রার্থনার আয়োজন করেন বুদ্ধের আদর্শ অনুসারীরা। এ উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশজুড়ে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বুদ্ধপূজা, প্রদীপ প্রজ্বালন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনাসভা, প্রভাতফেরি, সমবেত প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মানব জাতির সর্বাঙ্গীণ শান্তি ও মঙ্গল কামনায় অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ প্রার্থনা।