Home ফিচার ৪২ আসামিকে পুলিশের ছাড়

৪২ আসামিকে পুলিশের ছাড়

0

ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই বরকত ও রুবেলের অর্থ-আত্মসাতের মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া দুই আসামির নাম অভিযোগপত্রে নেই। অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে আরও ৪০ আসামিকে, যাদের নাম আসে বরকত-রুবেলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও। অভিযোগ উঠেছে- পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে এই ৪২ জন বিশেষ ছাড় পেয়েছেন। এ ঘটনায় ‘সংক্ষুব্ধ’ প্রকাশ করে মামলা পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

অভিযোগ রয়েছে, ৪২ জনের নাম বাদ দিতে বিপুল অর্থের লেনদেন হয়েছে। এ লেনদেনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন পুলিশের তিন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা। এদের মধ্যে সিআইডির তৎকালীন দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও রয়েছেন। তিন কর্মকর্তার মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপিসহ দুজন ইতোমধ্যে অবসরে গেছেন। ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার সাহা, যিনি বর্তমানে র‌্যাবে কর্মরত। দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে এ মামলা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারে চালানো হয় বিশেষ অভিযানও।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিআইডির তদন্ত করা মামলার অভিযোগপত্র একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুমোদন পায়। তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমে তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দেন। তিনি দেখে পাঠিয়ে দেন তার চেয়ে ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তার কাছে। এভাবে অন্তত তিন কর্মকর্তার অনুমোদনের পর সেটি যায় সিআইডিপ্রধানের কাছে। সিআইডিপ্রধান অনুমোদন দিলেই সেটি আদালতকে দেওয়া হয়। ওই সময় সিআইডির প্রধান ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।

অভিযোগ উঠেছে, আসামিদের নাম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের ঊর্ধ্বতন অন্তত তিন কর্মকর্তার হাত রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কত অর্থ লেনদেন হয়েছে, তা নিয়ে একেক সূত্রে একেক তথ্য পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে আমাদের সময়কে ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নথিপত্র না দেখে এ বিষয়ে কিছু বলাও যাবে না।’

সিআইডির একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আদালতের নির্দেশে পুনরায় শুরু হওয়া তদন্তে অন্তত ৬৪ জনের বিরুদ্ধে ঘটনার সংশ্লিষ্টতা মিলেছে। সে অনুযায়ী অভিযোগপত্র বানানো হচ্ছে।

তদন্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার সাহা আমাদের সময়কে বলেন, ‘ভুলে গেছি; এখন আমি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও না, আর কিছু জানিও না। এখনকার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলুন।’

তবে তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুনরায় তদন্তের নির্দেশ আসার পর তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছে সিআইডি।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here