বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার উদ্বেগের জেরে দুই দিনের ব্যবধানে শুক্রবার আবারও আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দরপতন হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে ব্যারেলপ্রতি ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৬৮ সেন্ট অথবা শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৯৫ দশমিক ৯১ ডলারে নেমেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ৩ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধিতে স্থির ছিল দাম। যুক্তরাষ্ট্রে পেট্রোলের দাম গ্যালনপ্রতি গড়ে ৩ দশমিক ৯৫ ডলারে নেমেছে। গত মাসে দেশটিতে পেট্রোলের দাম ৬০ সেন্ট কমেছে। সপ্তাহজুড়ে উভয় বেঞ্চমার্ক তেলের ২ শতাংশ দরপতন হয়েছে।
পণ্য বিশ্লেষক সাতোরু ইয়োশিদা বলেছেন, সাপ্তাহিক দরপতন কাছাকাছি ছিল। দীর্ঘস্থায়ী মন্দার আশঙ্কা তেলের দামের ঊর্ধ্বগতিকে সীমিত করবে বলেও জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুদিন ধরে জ্বালানির দাম ধীরে ধীরে কমছে। বিশ্বব্যাপী ডলারের বিনিময় মূল্য বেড়ে যাওয়ায় অনেক দেশেরই জ্বালানিসহ আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। আর বিভিন্ন দেশের আমদানি কমায় দাম কমছে।
ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধার পর থেকেই মন্দাভাব শুরু হয়েছিল জ্বালানি তেলের বাজারে। চীনের সরকারি তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রুড তেলের আমদানিকারক চীনে জুন মাসে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করায় জুলাইয়ে তা কমে যায়। এসব বিষয় প্রভাব ফেলে জ্বালানি তেলের বাজারে।
ইরানের পরমাণু চুক্তিকে ঘিরে আলোচনা ও চীনের অর্থনৈতিক দুর্বলতার কারণে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তেলের দাম কমেছে। বিশ্বব্যাপী ডলারের বিনিময়মূল্য বেড়ে যাওয়ায় অনেক দেশেরই জ্বালানিসহ আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। আর বিভিন্ন দেশের আমদানি কমায় তেলের দাম কমছে।